করোনায় চিত্তরঞ্জন দুর্গ, বিক্ষোভ প্রদর্শন


করোনা ভাইরাস আটকাতে চিত্তরঞ্জন রেলশহরকে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে ,বহিরাগত মানুষের প্রবেশ নিষেধ করে দেওয়া হয়।সেই নিয়ে স্থানীয় মানুষরা তিন নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে

 

অথচ শহরের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সব্জি, ওষুধ, গ্যাসের গাড়ি, তিনটি ব্যাংক ও কো অপারেটিভ সোসাইটি তে চিত্তরঞ্জনের বহিরাগত মানুষ আসতে বাধ্য।টাকা পয়সার লেনদেন, পেনশন তুলতে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চিত্তরঞ্জনের উপর নির্ভরশিল।সবজির গাড়ি, গ্যাসের গাড়ি ছাড়াও কুরিয়ার ও হাসপাতাল এবং পোস্ট অফিসে কর্মীরা বেশির ভাগই বাইরের লোক।

 

অন্যদিকে রূপনারায়ানপুর, মিহিজাম বিন্দাপাথর, নলা এলাকার কয়েক হাজার অবসর প্রাপ্ত রেল শ্রমিক কেজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য চিত্তরঞ্জনে আসতে বাধ্য হন।এছাড়া মানুষ মারা গেলে এ অঞ্চলের এক মাত্র শশ্মান ঘাট চিত্তরঞ্জন।স্বাভাবিক ভাবেই চিত্তরঞ্জনে বহিরাগত রা যেতে বাধ্য।অন্যদিকে চিত্তরঞ্জনে থাকেন অথচ বাইরে চাকরি করেন তাদের নিত্য যাত্ৰা করতে হয়।এ অবস্থায় তিন নম্বর ও এক নম্বর গেট দিয়ে যাতায়াত মানুষ কে করতে হবে, এ অবস্থায় এলাকার মানুষ তাদের লাইফ লাইন চিত্তরঞ্জনে না ঢুকতে পাড়ার কারনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন।চিত্তরঞ্জন ঢোকার মুখে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান যে কিছুদিন আগে এক বাক্তির মৃতদেহর জ্বালানির কাঠ আনার জন্য  চিত্তরঞ্জন এর যাওয়ার ছিল,কিন্তু আমাদের দুই ঘন্টা আটকে রাখার পর ফিরিয়ে দেওয়া হয়আর এক ব্যাক্তি অভিযোগ করেন যে আমার পরিবারের একজন চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তির জন্যে আমাকে গারেন্টার করা হয়েছে,কিন্তু চিত্তরঞ্জন তিননম্বর গেটের সামনে আরপিএফ এর প্রশাসন আটকে দেয় এবং আমাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।যার জন্য কল্যানগ্রাম, অরবিন্দনগর ,রূপনারায়ানপুর এলাকার মানুষ একসাথে জরুরি পরিষেবা গুলি নিয়ে যাতে চিত্তরঞ্জন প্রবেশ করতে পারে সেই কারণে আজকের এই অবরোধ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ এবং সালানপুর থানার পুলিশ দলবল নিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয় এবং বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন। অবশেষে চিত্তরঞ্জন ডেপুটি জেনারেল মেনেজার এর স্থানীয় তিননম্বর গেটের আরপিএফ আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যে শুধুমাত্র জরুরী চারটি পরিষেবার জন্য চিত্তরঞ্জন যাতায়াতের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে যার মধ্যে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, চিকিৎসা পরিষেবা, মৃতদেহ সৎকারের জন্যে প্রবেশ , গ্যাসের পরিষেবার প্রবেশ চালু করা হল।এই আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভকারীরা ঘন্টাদুয়েক পর বিক্ষোভ তুলে নেন এবং এই চারটি পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে

 

 

Post a Comment

0 Comments