আট- নয় বছরের নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তেজনা সালানপুর থানার ডাবরগ্রামে।আদিবাসী সমাজের আট -নয় বছরের বালিকাটিকে বিভিন্ন প্রলোভনে ডেকে তাকে শ্রীলতাহানি করে গ্রামেরই এক ৭২ বছর বয়সী ব্যক্তি। এই অভিযোগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন।অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান ওই বালিকার পরিবার ও গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।পরে উত্তেজিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের হাত থেকে কোনরকমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ। গোটা ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় সালানপুর থানার রূপনারায়নপুর পুলিশ ফাঁড়িতে।ডাবর গ্রামের সুবোধ মাহাতা(৭২) নামে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তৃণমূলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা জয়েস হাসদা জানান আট - নয় বছরের নাবালিকরা সঙ্গে শীলতাহানি করা হয়েছে।অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।আমাদের একটাই দাবি অভিযুক্তর যেনো কঠোর শাস্তি হয়।এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসীরা জানান বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের এক মন্দিরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে এই না বালিকার সাথে কয়েক দিন ধরেই শীলতাহানি করা হয়েছে।এই কথা বালিকা তার এক বন্ধুকে জানায়।তারপর বালিকার বন্ধুটি তাদের টিউশন টিচারকে জানায়।টিউশন টিচার বাড়ির সদস্যদের জানালে, বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসীরা সবাই মিলে তার বাড়ি গিয়ে অভিযুক্তর উপর চড়াও হয়।পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পরিবার সহ গ্রামবাসীরা দাবি জানায় দোষীর কঠোর শাস্তির।
ঘটনায় লিখিত অভিযোগের পর পকসো এবং এসসি এসটি ধরা সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলায় দায়ের করে পুলিশ।ধৃত ব্যক্তিকে আজ অর্থাৎ রবিবার আসানসোল আদালতে পাঠানো হয়।এই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত এর বড় ছেলে অংশুমান মাহাতা বলেন এই ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যা।তার বাবাকে পরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে।তিনি এও জানান এই ঘটনা এখন আইনি প্রক্রিয়ায় আইন ঠিক করবে তিনি দোষী কি না।
0 Comments