সত্তর বছর পেরনোর পর স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠন পাচ্ছে চিত্তরঞ্জন

 

প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পরে রেলবোর্ড স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠন পেতে চলেছে রেল শহর চিত্তরঞ্জন।শুরুর সময় থেকে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় নেই স্বীকৃত কোনও শ্রমিক সংগঠন। ৫৬ বছর আগে গোপন ব্যালটে ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে চিত্তরঞ্জনে প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিল সিটু অনুমোদিত লেবার ইউনিয়ন। এই ইস্যুতে ১৯৬৮ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রথম ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছিল তারা।

 ১৯৭৯ সালে লেবার ইউনিয়নের ডাকে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হয়।আন্দোলনের পরিণামে ইউনিয়নের তৎকালীন নেতৃত্বের উপরে নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। কিন্তু এই দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হতে থাকে। একই দাবিতে ১৯৯৬ সালে স্টাফ কাউন্সিলের নির্বাচন বয়কট করার ডাক দেয় লেবার ইউনিয়ন। সেদিনও আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও কর্মীরা।ইউনিয়নের দাবি নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে যায় লেবার ইউনিয়ন।

 ২০১৭ সালে হাইকোর্ট নির্দেশে জানায়, অবিলম্বে গোপন ব্যালটে ইউনিয়ন স্বীকৃতির নির্বাচন করাতে হবে। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রশাসন। সেখানেও একই রায় বহাল থাকে। এর পর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। মামলা ফিরিয়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দেয় চিত্তরঞ্জনেও গোপন ব্যালটে নির্বাচন করাতে হবে। এর পরেই দেশের রেল জোনগুলোর সঙ্গে চিত্তরঞ্জনেও গোপন ব্যালটে ভোটের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেন, ‘৩০ অগস্ট ভারতের বিভিন্ন জোনের রেল ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনের সঙ্গে চিত্তরঞ্জনেও শ্রমিক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হলো। চিত্তরঞ্জনের ইতিহাসে এটা প্রথম। অবশেষে রেল শ্রমিকদের ৫৬ বছরের লড়াইয়ে সাফল্য এলো।

Post a Comment

0 Comments