কথায় আছে মামা ভাগ্নে যেখানে ভয় নেই সেখানে এই ডায়লগ টা আমরা শুনেছি বাংলা সিনেমার রঞ্জিত মল্লিক ও প্রসেনজিৎ অভিনীত মামা ভাগ্নে সিনেমাতে। এই সিনেমায় মামার সঙ্গে ভাগ্নের সম্পর্ক অতি মধুর এখানে মামা ভাগ্নের জন্য জীবন দিতে পারে অন্যদিকে ভাগ্নে ও মামার জন্য জীবন দিতে পারে।। ঠিক এইরকম একটি মামা ভাগ্নের সিনেমা সালানপুর ব্লকে ও হতে পারে, তবে এখানে মামা ভাগ্নের সম্পর্কটি হিংসাত্মক, সিনেমাটির শুটিং হয়তো করা যেতে পারে সালানপুর ব্লকের চিতল ডাঙ্গাতে । এই সিনেমায় মামা ও ভাগ্নে নানান অসামাজিক কাজের সাথে সাথে ঝাড়খন্ডে একটি ফ্যাক্টরির স্ল্যাগ তুলে পাচার করছে বেঙ্গল। ঝাড়খন্ড থেকে বেঙ্গলে আনতে কোন সরকারি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না এই মামা ভাগ্নের। কিন্তু মামা ও ভাগ্নে একে অপরের মুনাফা ঘিরে হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। যার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। যে কোনদিন এইরূপ সিনেমা এই অঞ্চলে সত্যি হয়ে যেতে পারে বলে গ্রামের মানুষদের মতবাদ। ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে চিতল ডাঙ্গার রাস্তা, এই মামা ভাগ্নের উপদ্রবে ঝাড়খণ্ডের অঞ্জনী ফ্যাক্টরি স্ল্যাগ থেকে অবৈধভাবে উপার্জন করে নিজেদের আখের গুঁছিয়ে বড়লোক হচ্ছে। তার জন্য নষ্ট করছে পঞ্চায়েতের রাস্তা। অসুবিধায় ফেলেছে সাধারণ মানুষদের। মাঝেমধ্যে গ্রামবাসীরা আপত্তি করেছে কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা কে বাই ভাবে? এমনকি ঐ অঞ্চলে একটি পুকুরকে ও জোরপূর্বক ভরাট করে দিয়েছে, এই স্ল্যাগ দিয়ে। সালানপুরের চিতল ডাঙ্গা বারবারই খবরের শিরোনাম কখনো অবৈধ অস্ত উদ্ধার আবার কখনো অবৈধ অস্ত্র কারখানা উদ্ধার। তাই হয়তো গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলেও জোরালো প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। বর্তমানে অঞ্জনী ফ্যাক্টরির ওই স্ল্যাগ শিব মন্দির হয়ে বিহার রোড দিয়ে রূপনারায়নপুর ফাঁড়ির নাকা পোস্ট তারপর জেলা পরিষদের পোস্ট তারপর রূপনারায়নপুর ফাঁড়ির ২৪ ঘন্টা টহলদারি গাড়ির পার করে চলে যায় আসানসোলের উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু এই গাড়িগুলি পার করা পর্যন্ত মামা ভাগ্নের হাত। গাড়িগুলি পার করার পর শান্তি মামা ভাগ্নের। জানা যাচ্ছে প্রতিদিন মামা ও ভাগ্নে মিলে সকাল ছয়টা থেকে শুরু করছে এই চোরা পারাপার। যদিও এটাকে চোরা বলা যায় কিনা তা ভাবার বিষয় কারণ পুলিশের নাক আছে জেলা পরিষদের চেকপোস্ট তারপর পুলিশের টহলদারি গাড়ি এত কিছু পার করে এই গাড়িগুলি রওনা দেয় আসানসোলের উদ্দেশ্যে। দিনের আলোয় ঝাড়খণ্ডের অঞ্জনি ফ্যাক্টরির কোনরূপ কাগজ ছাড়াই অবৈধভাবে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টি ডাম্পার ১০ চাকার গাড়ি করে এই অবৈধ স্ল্যাগ পার করছে, মামা ও ভাগ্নে। জানা গেছে এই কাজটুকু জন্য অর্থাৎ এই অবৈধ স্ল্যাগ ব্যবসায়ীরা টন পতি ৩০০ টাকা পায় তাহলে বুঝুন প্রত্যেকদিন যদি ৭০থেকে ৮০ টি ওভারলোড ১০ চাকা ও ডাম্পার পেরোয় তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ায়। হ্যাঁ এলাকার কিছু ছেলে হয়তো এই স্ল্যাগের কারণে কোনরূপ রুজি রোজগার করছে। কিন্তু মামা ভাগ্নে মিলে জেলা পরিষদের রাস্তা ব্যবহার করে রাস্তার বারোটা বাজিয়ে কিভাবে নিজেদের মুনাফা বাড়িয়ে চলেছে। তবে এ ব্যাপারে একটা প্রশ্ন সাধারণ মানুষের নদীর ধারে শুনশান জঙ্গলের এলাকায় বেআইনি পাথর খাদান বন্ধ করেছে পুলিশ যার খবরও আমরা করেছি, পুলিশের এই কৃতিত্বকে সাধুবাদ ও জানিয়েছি। কিন্তু দিনের আলোয় ৭০থেকে ৮০ টি অবৈধ স্ল্যাগ গাড়ি, ঝাড়খন্ড থেকে বিহার রোড দিয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশের নাকা পয়েন্ট তারপর চেক পোস্ট তারপর ২৪ ঘন্টা টহল দারির পুলিশের গাড়ি যা শুধুমাত্র রূপনারায়নপুর বিহার রোডের পেট্রোল পাম্পের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে তাদের চোখকে কি করে ফাঁকি দিচ্ছে এই মামা ভাগ্নে? অনেকে আবার বলছে, মামা ভাগ্নের হাত আসানসোল পর্যন্ত আছে। তাহলে এখানকার পুলিশ দেখবে কি করে? মানুষ বলছে তা না হলে দিনের পর দিন দুর্নীতি হচ্ছে কি করে পুলিশের চোখের সামনে। পুলিশ জানে না তা কখনো হয়? আবার কিছু কিছু লোক বলছে দিনের বেলায় সকলের চোখের সামনে বিহার রোডের চেকপোস্ট হয়ে যদি বুক ফুলিয়ে এত দুর্নীতি হয় তাহলে একবার ভাবুন তো রাতের অন্ধকারে বিহার রোডের কি চেহারা। সব থেকে বড় ফ্যাক্টর চিতল ডাঙ্গা থেকে এই ধরনের দুর্নীতি সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে। যেখানে রূপনারায়নপুর পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়ি। তবুও ঐ অঞ্চলে কিন্তু সবাই চুপ মামা ভাগ্নের দাপটে। ঐ এলাকার কিছু বাসিন্দারা বলছেন মামা ও ভাগ্নে নিজেদের মধ্যেই সঙ্ঘবদ্ধ নয়, ভয় হয় কোন দিন এই স্ল্যাগর মুনাফা লোভে হয়তো নিজেদের মধ্যেই লড়াই শুরু হয়ে যাবে। যারফলে এই এলাকার এমনিতেই স্ল্যাগের কারণে উত্তপ্ত, তার উপর বেশি মুনাফা লাভের লোভে যেকোনো সময় অশান্তি শুরু হয়ে যেতেই পারে। আর তারই অশনি সংকেত দেখা যাচ্ছে হয়তো। এই স্ল্যাগ ঘিরেই চিতল ডাঙ্গা উত্তপ্ত হয়ে উঠবে যার আচ পড়বে সমগ্র সালানপুরে। সেই দিনও কি পুলিশ চুপ করে থাকবে? যেমন করে দিনের পর দিন স্ল্যাগ দুর্নীতিতে অজানা কারণে চোখ বন্ধ করে আছে। এর সাথে সাথেই অনেকে বলে উঠলেন মামা ভাগ্নে যেখানে অশান্তির সংকেত সেখানেই |
0 Comments